রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব কারণে মহানবী (সা.) অভিশাপ দিতে নিষেধ করেছেন।

মানুষ যখন কোনো সমস্যা পড়ে, তখন তা থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করে থাকে। আবার অনেক সময় দুঃখে পড়লে বা রাগ এবং ক্ষোভের সময় নিজের সন্তান-সন্তুতিসহ সম্পদ ও মান-মর্যাদার ব্যাপারেও বদ-দোয়া করে থাকে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মুসলিম উম্মাহকে এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, যেন পরিবার-পরিজন এবং সম্পদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছে বদ-দোয়া না করে। কারণ এমন একটি সময় রয়েছে যখন দোয়া, বদ-দোয়া বা অভিশাপ; যা-ই করুন না কেন, তা আল্লাহর দরবারে কবুল হয়ে যায়। যা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা সুস্পষ্টভাবে বর্ণনা করেন।

হজরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা নিজেদের অভিশাপ দিও না। তোমরা তোমাদের সন্তান-সন্ততিদের অভিশাপ দিও না; তোমরা তোমাদের চাকর-চাকরানিদের বদ-দোয়া কর না এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদের প্রতি বদ-দোয়া কর না।

কেননা এমন একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে যখন দোয়া (বা বদ-দোয়া) করলে তা কবুল হয়ে যায়। কাজেই তোমার ঐ বদ-দোয়া যেন (দোয়া কবুলের) ঐ মুহূর্তের সঙ্গে মিলে না যায়।

(মুসলিম, আবু দাউদ)

সুতরাং আল্লাহ তআলা মুসলিম উম্মাহকে সব ধরনের অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় নিজের জন্য, পরিবার পরিজনের জন্য, সম্পদ ও মান-মর্যাদাসহ অন্য যে কাউকে অভিশাপ বা বদ-দোয়া দেয়া বা করা থেকে বিরত রাখুন। দুনিয়া ও পরকালের জন্য ভালো ও কল্যাণমূলক কাজের জন্য শুকরিয়া আদায় এবং দোয়া করার তাওফিক দান করুন।

আমিন।

এই বিভাগের আরো খবর